আজ বুধবার, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৩ মাসে পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়নি সিদ্ধিরগঞ্জ ওসির

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
কোভিড-১৯ নামের ছোঁয়াচে এক অদৃশ্য জীবাণুর কারণে সবাই ভয়ে তটস্থ। আপন মানুষগুলোও যেন পর হয়ে গেছে। প্রিয়জনও দূরে সরে গেছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রমও রয়েছে। মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে অনেকে অন্যের সাহায্যে ছুটে যাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সদস্যরাও অনেক মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। লকডাউন থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত আশ্রয়হীন, দিনমজুর ও অসহায়দের পাশে দাড়িয়ে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন থানা পুলিশ থেকে শুরু কওে সকলেই।
এমনই একজন কামরুল ফারুক। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে সম্মুখে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন এ পুলিশ অফিসার। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই মানুষের জন্য কাজ করছেন তিনি। গত তিন মাসে পরিবারের সদস্যদের সাথে একটি বারের জন্যও দেখা করতে যাননি। এমনকি ঈদের দিনও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতেও যেতে পারেননি।
জানা যায়, পুলিশ যাতে স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারে এজন্য সকল সদস্যদের মাঝে একধিকবার সুরক্ষাসামগ্রী মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, গ¬াভস ও পিপিই বিতরণ করেছেন। করোনা বিস্তার রোধে কাজ করতে যেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ১৬ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারা সুস্থ হওয়ার পর আবারও নব উদ্যমে কাজের উৎসাহ যোগাতে তাদেরকে ২৩ মে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। ওসি কামরুল শুধুমাত্র থানার পুলিশদের জন্য কাজ করেই ক্ষান্ত হননি। তিনি এখনও সিদ্ধিরগঞ্জের অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বলেন, ‘পুরো বিশ্বে করোনা একটি মহামারি অসুখ। ছোঁয়াচে এ রোগে আমাদের দেশের জনগণও আক্রান্ত হচ্ছে, মারাও যাচ্ছে। সেই মহামারি থেকে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীকে দূরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিআইজি মহোদয়ের নির্দেশক্রমে এবং বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সাধ্যানুযায়ী সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করে যাচ্ছি, করে যাবো।